ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা অসহনীয়: পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ২১:২৯

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকা শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে মন্তব্য করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বায়ু দূষণ মোকাবিলায় দূষণের উৎস বন্ধ করে শহরের বিভিন্ন স্থানে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, মূলত তিন কারণে ঢাকাসহ সারাদেশে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ছে। সেগুলো হলো- ইটভাটা, মোটরযানের কালো ধোঁয়া এবং যথেচ্ছ নির্মাণকাজ। গত আট বছর ধরে এই তিন উৎস ক্রমেই বাড়ছে।
আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার বায়ু ও শব্দ দূষণ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বায়ু দূষণ মোকাবিলায় দূষণের উৎস বন্ধ করে শহরের বিভিন্ন স্থানে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি ঢাকার চারপাশের জলাশয়গুলোকে রক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অবকাঠমো ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় করা প্রয়োজন। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ইটভাটায় যাতে পরিবেশ দূষণকারী পদার্থের নির্গমন বন্ধ হয় তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে প্রতিদিন সকাল ও দুপুর দুই বার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় উপর থেকে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিআরটি এবং মেট্রোরেল প্রকল্পকেও নিজস্ব উদ্যোগে পানি ছিটানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ইট, বালু ও মাটিসহ নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনকারী ট্রাক বা গাড়িগুলো যাতে অবশ্যই মালামাল ঢেকে পরিবহন করে তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে পরিত্যক্ত বর্জ্য না পোড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর বায়ু ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা নেবে, যেগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থা বাস্তবায়ন করবে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই আমরা ঢাকা শহরকে বায়ু ও শব্দ দূষণ মুক্ত করতে পারব।
তিনি জানান, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে সচিবালয়ের চারপাশ অর্থাৎ জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, কদম ফোয়ারা, শিক্ষাভবন এলাকাকে নিরব জোন বা ‘শব্দবিহীন’ এলাকা ঘোষণা করবে সরকার। এ এলাকায় কোনো পরিবহনকে হর্ন বাজাতে বা শব্দ সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা শহরে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাইলট কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এটা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।